১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে মেজর ডালিমের খালাতো বোন তাহ্মিনার বিয়ের আয়োজন চলছিল ঢাকা লেডিস ক্লাবে। বিয়ের দিন মেজর ডালিমের শ্যালক বাপ্পির সঙ্গে রেডক্রসের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার দুই ছেলের কথাকাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর দুটি মাইক্রোবাস এবং একটি কার লেডিস ক্লাবে প্রবেশ করে। কার থেকে গাজী গোলাম মোস্তফা নামেন এবং মাইক্রোবাস থেকে প্রায় ১০-১২ জন অস্ত্রধারী বেসামরিক ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা আলম এবং চুল্লুকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। চুল্লুকে অস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়, যার ফলে তার মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তারা মেজর ডালিমকেও জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। মেজর ডালিমের স্ত্রী নিম্মী স্বামীকে একা যেতে দিতে রাজি হননি, তাই তিনিও মাইক্রোবাসে ওঠেন। তাদের সঙ্গে মেজর ডালিমের খালামনিও ছিলেন। অপহরণের পর তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে ঐতিহাসিক তথ্য এবং সাক্ষাৎকার অনুসারে, শেখ কামাল এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না।