যে মেয়েটি মেয়ে হয়ে ওঠেনি, যে মেয়েটি নারী হয়ে ওঠেনি, তার গায়ে হাত দেয় কী করে? 

‘যে মেয়েটি মেয়ে হয়ে ওঠেনি, যে মেয়েটি নারী হয়ে ওঠেনি, তার গায়ে হাত দেয় কী করে? এই দেশটা কী কাপুরুষের দেশ হয়ে গেলো?’ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি বলেন, ‘এদের দমন করার দায়িত্ব আপনাদেরও। সমাজ কি সুস্থ আছে বলে আপনার মনে হয়? আর আপনার কি মনে হয়, আমি ছয় মাস এসেছি, আর এই পচে যাওয়া সমাজকে বদলে দেব! বাচ্চাটা জীবন নিয়ে লড়ছে, ডাক্তাররা জানে না তাকে বাঁচাতে পারবে কি পারবে না। ডাক্তাররা কাজ করছে, তরুণ ছেলে–মেয়েরা প্রতিবাদ করছে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এই বাচ্চাটা যেন সর্বোচ্চ বিচার পায়।’

বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার আট বছরের শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভেন্টিলেটর যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।

শারমীন এস মুরশিদ আরও বলেন, ‘প্রথম কথা, সবাই দোয়া করবেন বাচ্চাটা যেন বাঁচে। ডাক্তাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এসব ঘটনায় আপনাদের সাংবাদিকদেরও দায় আছে। দয়া করে আপনারা দোষীদের কোনোভাবেই জায়েজ করবেন না। বারবার এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এগুলো হতে দেওয়া যাবে না। এখানে প্রমাণ আছে, আসামি আছে, কিছুতেই আমরা হাতছাড়া হতে দেব না। এটা অবশ্যই নজরে রাখতে হবে।’

তিনি সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের দিকেও ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটার পেছনে সমাজের পচনশীল মানসিকতা দায়ী। আমরা সবাই মিলে এই পচন রোধ করতে হবে। শিশুটির বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’

শিশুটির চিকিৎসা ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিশুটির পাশে আছে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *