
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন।
শৈশবের উচ্ছ্বল হাসি থমকে গেল এক ভয়ংকর বাস্তবতার সামনে।
আমরা পারলাম না তার মুখের হাসি ধরে রাখতে। 😭🙏😰
বাচ্চা মেয়েটি বেড়াতে গিয়েছিল বড় বোনের বাসায়। ফিরতে দেরি হবে দেখে বড় বোন তাকে থেকে যেতে বলেছিল। তার মনে হয়েছিল, দুলাভাই বাসায় থাকায় সব নিরাপদ। কিন্তু সেই রাতই হয়ে উঠল শিশুটির জীবনের কালরাত।
দুপুরে বড় বোন বাসায় ফিরে দেখে, রুমের দরজা বন্ধ, ভেতরে অন্ধকার। লাইট জ্বালাতেই চোখে পড়ল মর্মান্তিক দৃশ্য—একপাশে এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে ছোট বোনটি। তার মুখ ফ্যাকাশে, চোখ দুটো নিভে আসা প্রদীপের মতো।
বড় বোন কিছুই বুঝতে পারছিল না। যখন সত্যি উপলব্ধি করল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। সে শাশুড়ির কাছে অনুরোধ করল, “আমার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দিন!” কিন্তু শাশুড়ি বাধা দিলেন—”না, মানসম্মান নষ্ট হবে!”
অবশেষে অনেক অনুরোধের পর বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। শাশুড়ি সঙ্গে গেলেন ঠিকই, কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছেই পালিয়ে গেলেন।
মেয়েটির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকল। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল সে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন মাস্কের আড়ালে তার করুণ আর্তনাদ শুনে হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে উঠল।
সাত-আট বছরের নিষ্পাপ শিশুটি, যে কিছুদিন আগেও পুতুল নিয়ে খেলত, আজ তার হাত অসাড় হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়।
মেয়েটির মা আর বড় বোন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তার পাশে। মা মাথায় হাত বুলিয়ে ফিসফিস করে বলছে, “সব ঠিক হয়ে যাবে মা…”
কিন্তু সত্যিই কি সব ঠিক হলো?
শিশুটির চোখে আজ শুধু ভয় আর প্রশ্ন—তার দোষ কী ছিল? তার তো ওড়না পরার বয়সও হয়নি। তাহলে কীসের দোহাই দিয়ে এই পাশবিকতা লুকানো হবে?
এখনও কেউ এগিয়ে আসেনি। না কোনো প্রতিবাদ, না কোনো ন্যায়বিচারের দাবি। চারপাশ নিস্তব্ধ।
এবারও কি ধ*র্ষকের পক্ষেই দাঁড়াবে সমাজ? নাকি এই অবুঝ শিশুটির পাশে এসে দাঁড়াবে কেউ?
বি:দ্র: মেয়েটি আর বেঁচে নেই।
#ইন্নালিল্লাহি #ন্যায়বিচার #শিশুঅধিকার #মানবতা #সমাজ #অপরাধ #প্রতিবাদ #সচেতনতা #শিশুসুরক্ষা #মানুষহউকমানুষ