বড়লেখা সীমান্তে লাশ পাওয়া চা-শ্রমিকের বাড়িতে নাগরিক কমিটির উপস্থিতি, হত্যার রহস্য এখনও উদ্‌ঘাটিত হয়নি।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চা-শ্রমিক গোপাল বাক্তি (৩৬) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তিনি পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রোববার সীমান্তের জিরো লাইনের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, গোপাল বাক্তি সীমান্তের কাছে বাঁশ কাটতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার সঙ্গে থাকা অন্য শ্রমিকরা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। তারা সীমান্তে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি প্রতিনিধিদল নিহত গোপাল বাক্তির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে, নিহতের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাইয়ূম জানিয়েছেন, দুর্গম এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। স্থানীয়রা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *