
প্রায় দুই দশক পর গোপালগঞ্জে জনসভা আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দীর্ঘ ১৯ বছর পর এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে, পাশাপাশি প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে, আর ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, আর প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খন্দকার মাশুকুর রহমান, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদিন। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারাও জনসভায় যোগ দেবেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান।
বড় পরিসরে জনসভাকে সফল করতে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন লাগাতার প্রস্তুতি সভা, প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সর্বশেষ ফরিদপুর বিভাগীয় ইউনিয়ন সভা করেছিলেন। পরে এই সভাটিই জনসভায় রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ জনসভায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার নেতা-কর্মীর সমাগমের লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম জানান, ‘দীর্ঘদিন আমরা উন্মুক্তভাবে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। তবে ২৪ তারিখের জনসভাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান বলেন, ‘গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা গোপালগঞ্জে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি। কিন্তু এখন আর কোনো ভয় নেই। ২৪ তারিখের জনসভাকে সফল করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ভেন্যু সাজানোর কাজ চলমান রয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন সড়কে নেতাদের সম্মানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।’